পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

“Don’t let the bastards grind you down.”

ছবি
স্ব র্ণময়ী’, কী মায়ালু জাদুমাখা একটা নাম! ছবি দেখে বোঝার উপায় নেই নরম হাসিতে ভেসে যাওয়া বুদ্ধিদীপ্ত মেয়েটা আত্মহনের মতো বোকামি করতে পারেন। কেন করলেন এমন বোকামি? কেন গেলেন তিনি ওই পথে? কে তাকে প্ররোচিত করেছে; যার জন্য তিনি বাধ্য হলেন আত্মহননে? এই আত্মহত্যা নিয়ে যার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, শুনতে পাচ্ছি তার খুঁটির নাকি ব্যাপক জোর। কাজেই এটা মোটামুটি নিশ্চিত, এমন জঘন্য অপরাধ করেও অভিযুক্ত দিব্যি বেঁচেবর্তে থাকবে। বছরের পর বছর এমনটাই আমরা দেখে অভ্যস্ত। আজ পর্যন্ত যৌনহয়রানির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির উদাহরণ কি আমরা ঘটতে দেখেছি? আমার জানা নেই। কারো জানা থাকলে বলবেন প্লিজ। কোথাও আর্টিকেলে পড়েছিলাম, একটা সমাজ কতটা উন্নত সেটা বোঝা যায় সেই সমাজে নারীর অবস্থান কতটা স্বস্তিময়-উন্নত তার ভিত্তিতে। উন্নত সমাজের শর্ত হিসেবে অবশ্যই আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ রয়েছে– কিন্তু নারীর উন্নত অবস্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মতো দেশে বিকৃতমনষ্ক কিছু মানুষাকৃতির পশুর কারণে সে অবস্থান নিরন্তর টলে যায়। যেন সেটা সোনার পাথর বাটি। বাস্তবে সোনার পাথরবাটির অস্তিত্ব আছে, কিন্তু আমাদের মতো দেশে নারীর জন্য...

'বুড়ো শালিকের ঘোড়ে রোঁ'

ছবি
“জুলাই সনদ স্বাক্ষর বর্বরতা থেকে সভ্যতায় আসার প্রমাণ: এখন কাজে প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা সেই সভ্যতা অর্জন করেছি।” বাংলাদেশে সংঘটিত ২০২৪-এর জুলাই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিশেষ করে বর্হিবিশ্বে, বিন্দুমাত্রও ধারণা নেই যাদের– তারা হয়তো ভাবতে পারেন, আমাজনের জঙ্গল থেকে একদঙ্গল শিম্পাঞ্জি বেরিয়ে এসে বুঝি এই বিবৃতি দিয়েছে। পৃথিবীতে এমন গুটি কয়েক জনগোষ্ঠী আছে, যারা স্বেচ্ছায় যন্ত্রনির্ভর সভ্যতা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পছন্দ করে। তারপরও তাদের অসভ্য বলা যাবে না– নিজের ভূখণ্ড আর পূর্বজদের প্রতি তাদের সকৃতজ্ঞ ভালোবাসা, তাদের মানবিকতাবোধ, প্রকৃতির প্রতি আকণ্ঠ কৃতজ্ঞতা বরং সভ্য বলে বড়াই করা বিপুল সংখ্যক মানুষকে লজ্জায় ফেলে দেবে। মনে হতে পারে, ওদেরই মতো কোনো জনগোষ্ঠী নিজেদের বোকামি বুঝতে পেরে শেষমেশ সভ্য হয়ে বুঝি এমন ঘোষণা দিয়েছেন– না, সে ভাবনাও সঠিক নয়। জীবনের প্রায় পঁচাশি বছর পার করে দেওয়ার পর সভ্য হওয়ার এই দাবির জানানদার হলেন একজন সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী,আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া মানুষ। যিনি আবার বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকারের 'লাড্ডুগোপাল' হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। জি, ঠিক ধরেছেন, নব্য এই সভ...

নিবিড় নিভৃতে নামে পূর্ণিমা

ছবি
তু মি জানো মানুষের জীবনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত কোনটা? একজন মায়ের কাছে তার সন্তানের মুখভরা হাসি দেখার মুহূর্তটা সবচাইতে সুন্দর। কৃষকের কাছে মাঠের বুকভরা ফসল দেখার মুহূর্ত পিঁড়ি পেতে দেয় অপার সুন্দরকে। আর একজন আপাদমস্তক প্রেমিকের কাছে সুন্দর মুহূর্ত কোনটা জানো তুমি? যখন কেউ তাকে ভালোবাসে। প্রাণভরে, বুকের কোটরে আঁকড়ে ধরে রেখে যাচ্ছেতাই রকমের ভালোবাসে। সেই মুহূর্তে, নিভৃতে তার বুকজুড়ে নামে নিবিড় পূর্ণিমা! তার চোখ দেখে মনে হয় সে কিছু একটা নিয়ে ভালো আছে, তার হঠাৎ হঠাৎ আনমনা হওয়ায় একটা মনখারাপের গন্ধ লেগে থাকে, তার স্বভাবে সহনশীলতা, ঠিক যেন একটা রঙিন কৃষ্ণচূড়া খুব যত্নে বেড়ে উঠছে। অসম্ভব তাড়াহুড়োতেও তার সময় নিয়ে কাজল পরা, গুনগুন ভাঙা-ভাঙা শব্দে হরদম দু-কলি গেয়ে ওঠা, ভাতের থালায় অগোছালো ভাব, অপেক্ষা করতে শেখা, পাশবালিশে সাবধানে মুখ রাখা। মানুষ ভালোবাসা পেলে বড্ড বেশি মাটির কাছাকাছি চলে যায়, থিতু হয়ে যায়, জীবনের অঙ্কে ভুল করে, একটু একটু করে হারাতে থাকে নিজেকে। সে চায় প্রিয় মানুষটা তাকে খুঁজুক, সামলে নিক, চিনিয়ে দিক ফুলের ঘ্রাণ, হুটহাট মেঘলা হতে শেখাক, কানের পাশের চুল সরিয়ে আলতো করে এঁকে দিক গ...

জাদুকর, আপনার অনন্তের যাত্রা শান্তির হোক

ছবি
  এ ক জীবনে মানুষ তার শৈশব ভাঙিয়েই বুঝি বেঁচে থাকে। আমাদের লাল-নীল রঙের শৈশবের বুক পকেটে গোঁজা থাকে একজীবনের খুশি-- কুড়িয়ে পাওয়া আনন্দ নামের মণিমুক্ত। সে যেন এক সোনার কাঠি-রূপোর কাঠির গল্প। যার ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে ওঠে আমাদের ছেলেবেলা। আজ একটা মন খারাপের খবর জেনে আমার শৈশবও বুঝি চিবুক নেড়ে কাছে এসে বসে পড়লো। ওর বুকপকেট থেকে উঁকি দেওয়া স্মৃতি জীবন্ত হয়ে উঠলো নিমিশে-- ওই তো দিব্যি যেন দেখতে পাচ্ছি, কিশোর, মুসা আর রবিন রওনা দিচ্ছে ক্যানারি দ্বীপে-- সেই কোন সুদূর অতীতে পড়া 'রহস্য দ্বীপ' সতর্ক করে বলছে- নির্জন আর শান্ত ওই দ্বীপে ওদের জন্য বিপদ ওত্ পেতে আছে-- কিন্তু ডাকাবুকো ছেলে তিনটিকে কে আটকায়। শুটকিটেরির শতেক হ্যাপাতেও কী কাজ হয়েছে কখনও। শুটকিটেরির নাম মনে পড়তেই বিষণ্নতা টপকে নির্লজ্জের মতো ঠোঁটে হাসি ফুটতে চায়। হালকা পাতলা গড়নের হওয়ায় কলেজের একদুষ্টু বন্ধু আমাকে ওই নামে ডাকতো-- আকারে শুটকিটেরি হলেও স্বভাবে মোটেও তা ছিলাম না। যেহেতু রেগে যেতাম, সে তাই মজা পেয়ে আরো বেশি করে 'শুটকিটেরি,শুটকিটেরি' বলে ক্ষ্যাপাতো। আমার শৈশব-কৈশোরের অনেকটা জুড়ে 'তিন গোয়েন্দা'। সময় উজিয়ে ব...

Writing in Exile, Reading for Home

ছবি
W riting is a quiet act of self-revelation. Often, writers give more than they realize through passing references to food, a character’s silence or a subtle turn of phrase. These are not arbitrary choices. They are emotional breadcrumbs, shaped by cultural codes that define how we express grief, joy and identity. For a writer living far from her homeland, a native language becomes both refuge and compass. Even in English, traces of heritage seep in, sometimes deliberately, sometimes unconsciously. Readers hunger for connection not from malice, but longing. We read to understand, to feel less alone, to glimpse the soul behind words. Autobiographical writing is curated. What’s withheld reveals as much as what’s shared. We receive fragments. Every story is shaped, every truth partial, every silence deliberate, every absence meaningful. Art becomes the bridge, allowing the writer to conceal and confess and the reader to reflect and reach. This tension between exposure and mystery, between ...

শান্তির ছদ্মবেশে কি স্বাধীনতাহরণ?

ছবি
নো বে ল শান্তি পুরস্কারের কপােলে কলংকরেখা যতদিন যাচ্ছে ততই যেন গাঢ় হয়ে সেঁটে বসছে।  প্রতি বছরই অশান্তিতে পটু, বিতর্কিত ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কারটি। ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে যেন শান্তিকে এই মর্মে হুশিয়ার সাবধান করার খেলা শুরু হয়েছে। এবছরও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। বরং এমন একজনের হাতে শান্তির নোবেল তুলে দেওয়া হয়েছে যা রীতিমত অস্বস্তিকর,–অন্তত শান্তির ক্ষেত্রে তো বটেই। যিনি এবছর শান্তির নোবেলটি বগলদাবা করলেন তার অতীত কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে বিষয়টা যতটা স্পষ্ট হয়, শান্তির বুক আতঙ্কে ততটাই ধড়াস ধড়াস করে ওঠে। হুগো শাভেজ ১৯৯৯ সালে যখন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন, বিষয়টা তখন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মারিয়া কারিনা মাচোদাকেও অসন্তুষ্ট করেছিল। কেননা হুগো একজন কট্টর বামপন্থী নেতা, যিনি দরিদ্রদের প্রতি সহমর্মী। ক্ষমতায় এসে তিনি তাদের কথা ভেবেই সামাজিক কর্মসূচি চালু করেন, তেল সম্পদের পুনর্বণ্টন করেন এবং গ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী পররাষ্ট্রনীতি। শাভেজের গৃহীত নীতিগুলো সমাজের উচ্চবিত্ত, সামরিক কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের অস্বস্তিতে ফেলে। দেশটিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের ছায়া তখন থেকে সক...

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়...

ছবি
চ লে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে। জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয় সবাইকে- জীবন সুন্দর আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায়! বিদায়ের সেহনাই বাজে নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এই যে বেঁচে ছিলাম দীর্ঘশ্বাস নিয়ে যেতে হয় সবাইকে অজানা গন্তব্যে হঠাৎ ডেকে ওঠে নাম না জানা পাখি অজান্তেই চমকে ওঠি জীবন, ফুরালো নাকি! এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে… https://www.facebook.com/share/v/1BQ5Pi2vDM/

We Are Rekh

ছবি
T he only daughter of the householder and the maid both share the same name, Rekha. Since the maid is poor and dependent on them, the burden of renaming falls on her. She had been employed in this household for just over a month. On her first day, when her name was heard, the house erupted in laughter. My mother had said, “Oh dear, you both have the same name! When one is called, the other might respond. Or one might think she’s being summoned while the other actually is. No, this won’t do. You must change your name, do you understand?” What the maid understood, no one knew. But so far, we’ve both kept our respective names. There were moments of confusion, but we managed to get by without much trouble. Everything changed when Aunt arrived. She visits Dhaka for three weeks every year. During that time, she stays with us, mostly for medical check-ups to ensure the continued health of every organ in her body. My father, being a well-known doctor, gives her special treatment, even by pass...