পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে...

ছবি
প্রা য় বছর পনেরো পর আরো একবার অপরিচিত গায়কের গান শুনে মুগ্ধতার পর, শিল্পী সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হতে হলো। বছর পনেরো আগে যাঁর গায়কীতে প্রথমে মুগ্ধ, এবং পরে শিল্পী সম্পর্কে জানার পর মন বেদনায় ভরে গিয়েছিল; তাঁর নাম বিক্রম সিং খাঙ্গুরা। বিক্রমের গলায় শোনা, ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে…’ আজও আমার মন খারাপিয়া সময়ের সঙ্গী। দ্বিতীয়জন সদ্য প্রয়াত জুবিন গার্গ। নিজের জানার সীমাবদ্ধতার কথা অকপটে স্বীকার করে বলছি; “Tujhse Door Main Ek Hi Wajah Ke Liye Hoon/ Kamzor Ho Jaata Hoon Main” শোনার আগে এই শিল্পী সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিল না। গানটা শুনে ভালো লাগায় শিল্পী সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে বোকা বনে গেছি। গত দুদিন ধরে এই গানের ধুনটাই মাথায় ঘুরছে অনবরত। বিক্রম এবং জুবিন দুজনই অকালপ্রয়াত। কবি, সঙ্গীতশিল্পী এবং আঁকিয়ে বিক্রম সিং মারা গেছেন মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে। সেদিন বিক্রম তাঁদের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে একাই ছিলেন। সঙ্গীতজ্ঞ বাবা মোহন সিং শান্তিনিকেতনের বাইরে ছিলেন। গিয়েছিলেন গানের অনুষ্ঠানে , সঙ্গে ছিলেন ছোটো ছেলে আর ছেলেরবউ। বিক্রম তাঁর আঁকার সরঞ্জাম, কবিতার বই-খাতা- গানের অজস্র স্মৃতি ফেলে ঝিঁ...

'আমরা তোমাকে ভালোবাসি, মেসি'

ছবি
নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে আর্জেন্টিনা এবং বিশ্ব ফুটবলের জগৎকে আনন্দ বিলিয়েছেন লিওনেল মেসি। ফুটবলের জগতে তিনি অনেকটা সময় পার করেছেন। বয়সের এমন একটা পর্যায়ে তিনি এসে দাঁড়িয়েছেন, যখন মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর মোহ থেকে সরে এসে বিদায় বলাই তাঁর জন্য উত্তম। কখন থামতে হবে, এটা জানা জরুরি। সম্ভবত মেসি সেটা জানেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত লক্ষকোটি ভক্ত দর্শকের জন্য বেদনার হলেও আমি বলবো তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফুটবলের ইতিহাসে লিওনেল মেসি বহু স্বর্ণালী সময় যোগ করেছেন। স্বদেশ আর্জেন্টিনাসহ পৃথিবীময় তাঁর ভক্তদের কখনও গর্বিত করেছেন কখনও বা বেদনায় ভাসিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলের হার জিতের রোলারকোস্টারের দীর্ঘ সফর তাঁর শেষ হলো। তাঁর বিদায়ের ক্ষণটিও ফুটবলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে বুঝি লেখা থাকবে।স্বদেশের মাঠে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে। ম্যাচটি ছিল আবেগে ভরা: তিনি জোড়া গোল করে দলকে জয় এনে দেন এবং ম্যাচ শেষে দর্শকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় জানান। মাঠে প্রবেশ করেছিলেন সন্তানদের হাত ধরে, জাতীয় সংগীতের সময় চোখ বেয়ে নেমেছিল অশ্রুধারা। তিনি বলেছেন, এই ম্য...

Cry, Heart, But Never Break

ছবি
“ C ry, Heart, But Never Break”, নজরকাড়া ছোট্ট এই বইটি শিশুদের জন্য লেখা স্রেফ গল্প মাত্র নয়, বরং জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্যিটিকে গল্পের ছলে, অসামান্য উপস্থাপনার এক অনন্য উদাহরণ। যা বড়দের পাঠ তালিকাতেও স্বমহিমায় থাকার যোগ্য। এ বইয়ের লেখক Glenn Ringtved. গ্লেন একজন ডেনিশ লেখক, মূল ভাষা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করেছেন রবার্ট মূলথ্রাপ(Robert Moulthrope)। জলরঙে নজরকাড়া ছবি দিয়ে বইটি সাজিয়েছেন শার্লট পার্ডি(Charlotte Pardi)। এঁরা প্রত্যেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিখ্যাত মানুষ। আমরা যে সমাজে বেড়ে উঠেছি সেখানে অলিখিত এবং প্রচলিত কিছু ধারণা, শিশুদের যতটা সম্ভব জীবনের গূঢ় বাস্তবতা থেকে দূরে রাখা ভালো। একটা নির্দিষ্ট বয়সে তারা সেসব জেনে বুঝে নেবে। ফলে শিশু বয়সে যখন অযাচিত কোনো ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়, তখন সেটা একজন শিশুর জন্য নিদারুণ এক অবস্থা তৈরি করে। অবশ্য প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনকার শিশুদের কাছে কোনো কিছুই হয়তো আর অজানা থাকে না। কঠিন বাস্তবতার ঘায়ে শিশুর শৈশব ছিনতাই হোক সেটা কারো কাম্য না– জীবনের কিছু কিছু সত্যি, শিশুদের বোধের সঙ্গে খাপ খায়, সেভাবে তুলে ধরলে তাদের মনোজগতে ভীষণ উলট-পালট ঘটতে প...

মগ্ন যাঁরা লেবার অফ লাভে

ছবি
মে মাসের এক তারিখে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে লেবার ডে পালিত হয়। ব্যতিক্রম হলো: যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। এই দেশগুলোতে লেবার ডে উদযাপিত হয় যথাক্রমে ১ সেপ্টেম্বর- যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়, মার্চের দ্বিতীয় সোমবারে অস্ট্রেলিয়ায় এবং অক্টোবরের চতুর্থ সোমবারে নিউজিল্যান্ডে। একটা দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখার পেছনে শ্রমিকের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাঁদের সংগ্রামের ইতিহাসকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালিত হয়। যে ইতিহাসের শেকড় প্রোথিত রয়েছে ১৯ শতকে শেষভাগে। কমবেশি সবার সেটা জানা। দিনটির প্রতি যথাযথ সম্মান জানাচ্ছি। লেবার ডে আমাদের শেখায় শ্রমের মর্যাদা দিতে। কিন্তু এমন এক শ্রেণির শ্রমিক আছেন, যাঁদের কাজের কোনো বাঁধাধরা সময় নেই, ছুটি নেই, এমনকি স্বীকৃতিও প্রায় নেই—তাঁরা হলেন পরিবারের অদৃশ্য মেরুদণ্ড, একজন নারী, একজন মা। একজন মা প্রতিদিন যে পরিমাণ শারীরিক, মানসিক, এবং আবেগগত শ্রম দেন, তা কোনো চাকরির বর্ণনায় ধরা পড়ে না। ভোরের আলো ফোটার আগেই তাঁর দিন শুরু হয়ে যায়। রান্না, সন্তানদের যত্ন, ঘরের কাজ, স্কুলের প্রস্তুতি, অফিসের দায়িত্ব; সবকিছু একসাথে সা...