ভয়: কাহলিল জিবরান


ভাষান্তর: নাহার তৃণা


লা হয়, সমুদ্রে প্রবেশের আগে

একটা নদীর বুক ভয়ে কাঁপে।


ভীতশঙ্কিত নদী পেছন ফিরে তাকায়,

যোজন যোজন দূরত্ব সে পেরিয়ে এসেছে,

পাহাড়ের চূড়া থেকে শুরু করে,

অরণ্য আর জনপদের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা বিস্তর পথ।


এখন সে দাড়িয়ে আছে যার সামনে

সে এক বিশাল জলরাশি,

যার ভেতর প্রবেশ করা মানে

নিজের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হওয়া


কিন্তু আর কোনো বিকল্প পথ তার নেই।

কোনোভাবে নদী পেছনে ফিরে যেতে পারবে না।


কেউই পারে না পেছনে ফিরে যেতে।

 অস্তিত্বের নিয়মে ফিরে যাওয়া অসম্ভব।


বুকে নিঃচিহ্নের ভীতি জাগলেও

নদীকে ঝুঁকি নিতে হবে,

সমুদ্রে হতে হবে লীন,

সেটা করলে তবেই দূর হবে তার ভয়,

ভীতি উবে গিয়ে সে জানবে এই সত্য-

এ যাত্রা অস্তিত্বের বিলীন হয়ে যাওয়ার নয়,

বরং সমুদ্র হয়ে ওঠার এক অপার্থিব ভ্রমণ।


মূল কবিতা


ছবি: ইন্টারনেট



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাদ যাবে কি মুজিব(বাদ!)?

শান্তির ছদ্মবেশে কি স্বাধীনতাহরণ?

'সখী, ভালোবাসা কারে কয়!'