বাদ যাবে কি মুজিব(বাদ!)?




ত বছর জুলাই আন্দোলনের নামে, সরকার পতনের পর, বছর ঘুরে আবার জুলাই এসেছে। অন্তবর্তীকালে যাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে- তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্টের, আরেকটু খোলাসা করে বললে- ডেমোক্র্যাটদের প্রিয়ভাজন। মোহাম্মদ ইউনুস। সতীত্ব হারানো নোবেল শান্তি পুরস্কার লোরিয়েটের হাতে ২০২৪ এর আগস্টে ক্ষমতা যাওয়ায় দেশের প্রচুর মানুষ আহ্লাদে গদগদ হয়েছিলেন। তাদের সেই আহ্লাদের ফানুস ভোকাট্টা হতে সময় লাগেনি। অনেকে প্রকাশ্যে তার জন্য হায় আফসোস জানান দিচ্ছেন। ইগোধারীরা হয়তো গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। তাদের যাতনাটা অধিক, বলাই বাহুল্য। মোটকথা, হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো গেলে হাটেমাঠেঘাটে শান্তি থইথই করবে–এমনটা যারা ভেবেছিলেন তাদের দারুণভাবে হতাশ হতে হয়েছে। কারণ বর্তমানে দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৈন্যদশা ইতিঃপূর্বে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেনি। শান্তির ধারে কাছেও আজ বাংলাদেশ নেই। বিগত ১৫/১৬ বছরে কাওয়ামী মাদ্রাসার বাম্পার ফলনে শ্রম ব্যয় করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য যে বিষবৃক্ষ রোপন করে গেছেন, তার ছত্রছায়ায় বসে ইউনুস সরকার আয়েশ করে দেশ সংস্কারের পরিকল্পনার ছক আঁকছেন। ইউনুস বাহিনী যে পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষমতার বৃত্তে আসীন– সংস্কার হলো তার সাইবোর্ড। যা মুখে আছে, বাস্তবে নেই। নেই বলা আদতে সঠিক হচ্ছে না মনে হয়। তাদের আসল যে সংস্কার পরিকল্পনা– সেটি তারা ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই করতে সফল হয়েছেন।



সেটি কি? খুব পরিকল্পিতভাবে বিগত সরকারকে ‘ফ্যাসিস্টি’ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া। এতে তারা দারুণভাবেই সফল বলা যায়। ফ্যাসিস্ট সম্পর্কে ধারণাহীন কোটি কোটি মানুষ অবলীলায় সেটা গিলেছে। যাদের অধিকাংশই বয়সে কিশোর-তরুণ। যাদের না আছে ইতিহাস জ্ঞান– না আছে জানার আগ্রহ।  বাংলাদেশের ইতিহাসে হাসিনা সরকারের আগে আরো তিনজন স্বৈরাচার সরকার তাদের জ্ঞানের আওতার  বাইরে থেকে গেছে।

এরশাদশাহীর স্বৈরশাসন তারা প্রত্যক্ষ করেনি। তারও আগে জিয়াউর রহমানের দমনপীড়নের ইতিহাস তাদের জানা নাই। ধারণা করি খালেদা সময়কারের অরাজক শাসনের দিনকাল সম্পর্কেও তাদের জ্ঞান শূন্যের কোটায়। অথচ মজার বিষয়, শেখ মুজিবুর রহমানকে আবার সেই প্রজন্মই দিব্যি ‘ফ্যাসিস্টে’র আদি পুরুষ বলতে পছন্দ করে। তার মানে এদের জানাশোনাটা সাবজেক্টিভ। এই শ্রেণির মানবতা বলুন আর রাজনীতি সচেতনতা বা জ্ঞান, যাই বলুন– সে ওই সাবজেক্টিভ বৃত্তেই ঘুরপাক খায়। বাংলাদেশের একদল মুক্তিযুদ্ধকে পরম্পরা এবং ইতিহাসের প্রেক্ষিতে নিজের পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করেছেন– অন্যদল তার বিরোধীতায় নিজেদের পছন্দ জমা রেখেছেন। দেশ বা তার উন্নতি সবই সেখানে ব্রাত্য। ফলে দেশটা এক পা যেতে দুই পা টলে। টলতে টলতেও সে ঠিকই সামনে এগোচ্ছিল। অনেকের অভিযোগ শেখ হাসিনার কাওমি জননী হওয়ার সাধ-ই বাংলাদেশের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। মৌলবাদীদের আশকারা দিয়ে অবশ্যই হাসিনা চরম ভুল করেছেন। যেমনটা রাজাকারদের সাধারণ ক্ষমা করে ভুল করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বলা হয় শেখ হাসিনার মৌলবাদ তোষণ তাকে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় টিকে থাকায় সহায়তা করলেও আদতে সেটা আত্মহননের নামান্তর। অন্যদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমার পদক্ষেপ ছিল তাঁর স্বভাবগত উদারতা এবং ওই সময়কার পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। যেটি পরবর্তীতে তাঁর রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত। কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকেছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। এদের একজনের সময়কালে, ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চে  রেসকোর্সের ময়দানে বসেছিল যুদ্ধবিরোধীদলের ইসলামি মেহফিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন লিবিয়া এবং পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। কেন? উত্তরটা ইতিহাসের ধারাবিবরণীতে টুকে রাখা আছে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে জিয়াউর রহমান সাদরে বাংলাদেশের আতিথ্য দিয়েছিলেন। আর এরশাদ তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন নাগরিকত্বের সনদ।

আজকে, বাংলাদেশের করুণ পরিণতির জন্য যারা কেবলমাত্র হাসিনাকে দোষারূপ করে নিজেদের ইতিহাস অজ্ঞতা ঢাকতে চাই-- তারা নিজেকে প্রশ্ন করুন, খাল কেটে জিয়াউর রহমান কি যথার্থই কুমির আনেননি বাংলাদেশে? স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার বাতাবরণ তৈরির পেছনে জিয়া এবং এরশাদের দায়ভার ছিল না? তাদের দেওয়া ছাড়পত্রের জোরেই স্বাধীন বাংলাদেশে আজ তাদের বংশবিস্তারের বাম্পার ফলনের জোয়ার। হাজারে বিজারে হা-মুখো কুমির আজ দেশটাকে গিলে খেতে উদ্যোত। কেন করেছিলেন তিনি/তারা ওরকম আত্মঘাতী কাজ? বাংলাদেশে বিশ্বাসহীনদের পক্ষ কেন নিতে হয়েছিল? এমন প্রশ্নের উত্তর পানির মতোই তলরাং এবং সরলাং।

৭১ এর পর থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীরা তৎপর ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে টেনে নেবার। সে চেষ্টায় তারা ত্রুটি রাখেনি। সেই ধারাবাহিক চেষ্টা সফলতা পেয়েছে ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা বিরোধীর মুখোশে। যেটাকে গণঅভ্যূত্থান বা প্রতারণামূলক আন্দোলন, যাই বলি না কেন; তার অভিঘাতে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। বিগত সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষীয়। বর্তমানে ক্ষমতার বৃত্তে আছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল।

এর মধ্যে নতুন একটা দল জন্ম নিয়েছে। যার নাম এনসিপি। অনিবন্ধিত এই দলটিকে কিংসপার্টি বলা হচ্ছে।  এদের আচরণ 'সূর্যের চেয়ে বালি গরম’ সুলভ। রাজনীতির মাঠে নতুন এই দলটির আচার আচরণ কতটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার সংশ্লিষ্ট এবং কতটা বহির্ভূত, তার খতিয়ান সময় তার খাতায় হালনাগদ করে রাখছে নিশ্চয়ই। অতীতে ক্ষমতার বলয়ে থাকা প্রতিটি দল যেভাবে নিজেদের হম্বিতম্বি প্রদর্শন করতো, এরা তার ব্যতিক্রম তো নয়ই বরং কিছু ক্ষেত্রে তাদের আচরণ অত্যন্ত ভীতিকর এবং হতাশাজনক।



দল তথা দেশের স্বার্থ মাথায় রেখে অচিরেই নিজেদের আচরণে পরিবর্তন না আনলে, এ দলটিও জনাব ইউনুসের লুপ্তপ্রাপ্ত নাগরিক শক্তি(যে দল প্রতিষ্ঠার শুরুতে জনাব ইউনুস ঘোষণা পর্যন্ত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে দেবেন!) এবং ফ্রিডম পার্টির পরিণতি বরণ করতে পারে। তো নতুন দল এনসিপি জনসংযোগ ঘটাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রার আয়োজন করে। যেকোনো দলের জন্য এটা খুব স্বাভাবিক– কথিত ভোটযুদ্ধ যখন সামনে। এনসিপি আর সবগুলো জেলার ক্ষেত্রে তাদের জনসংযোগকে 'পদযাত্রা' হিসেবে চিহ্নিত করলেও গোপালগঞ্জের ক্ষেত্রে সেটা পদযাত্রার বদলে 'লং মার্চ' এ পরিণত হয়। তাছাড়া অন্য অঞ্চলের জন্য নিরীহ স্লোগান বরাদ্দ করলেও বিশেষ এই জেলার ক্ষেত্রে তাদের নির্ধারিত স্লোগান ছিল যুদ্ধাংদেহী। ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’। এমনই আওয়াজ তুলে তারা ২০২৪ এর আগস্টে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত ৬৭৭ নম্বর বাড়িটি আক্রমণ করে। ২০২৫এর ৫ ফেব্রুয়ারি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এনসিপির বিপ্লবী নামধারীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক সেই বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ স্লোগান প্রচারের সাথে সাথে তারা সোস্যালমিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। সেটি কেমন? ১৪ এবং ১৫ জুলাই পর্যন্ত তারা গোপালগঞ্জ গিয়ে মুজিববাদের কবর রচনা করবে – মুজিববাদ মুর্দাবাদ- ইনকিলাব জিন্দাবাদ ইত্যাদি বক্তব্যের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে থাকে।  

একটা নতুন দল নিজেদের আদর্শ তৈরি করলে এবং সেটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হলে, পূর্বের মতবাদ বা আদর্শ তো এমনিতেই পিছু হটে যায়–তাকে জোরজবরদস্তি ভাবে কেন কবর দেওয়ার এজেন্ডা নেওয়া হলো? 

যতটা বুঝি, গত জুলাই আন্দোলনের হিডেন এজেন্ডার অন্যতম ছিল এটা– বাংলাদেশ থেকে শেখ মুজিব তথা মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে। কার্যক্ষেত্রে মোহাম্মদ ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সেটা জোরেশোরেই শুরু হয়ে যায়। ১৬ জুলাই ২০২৫ গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতার ঘেরাটোপে থেকে এনসিপি জনসংযোগের নামে যে দৃষ্টান্ত রাখলো, সেটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বরাজনীতির জন্য বিরল এবং ন্যাক্কারজনক একটা উদাহরণ হয়ে থাকলো। একটা দেশের সাধারণ জনগণকে নিরাপত্তা দেবার পরিবর্তে তাদেরই বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্র; যা একই সঙ্গে ভীতিকর এবং মর্মান্তিক। মোহাম্মদ ইউনুসের অন্তবর্তীকালীন সরকার অনির্বাচিত বলেই কি কোনো দায় দায়িত্ব নেওয়ার বা শুভবুদ্ধি প্রয়োগের সততা দেখানো হচ্ছে না?

শেখ মুজিবুর রহমান যে দলটি গড়ে তুলেছিলেন তার পেছনে তাঁর এবং দলীয় কর্মীদের আন্তরিকতা, রক্ত আর ঘামের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। শহুরে মানুষের তুলনায় গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষগুলোই যার কাণ্ডারি। সেই দলটির পুরোভাগে যিনি, তাঁর কবর গোপালগঞ্জে- সেটি স্বাধীনতাবিরোধী -এনসিপির মূল লক্ষ্য। জীবিত মুজিবের চেয়েও বুঝি মৃত মুজিবুর রহমান শতকোটি শক্তি ধারণ করেন। সেই শক্তির উৎস মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী অগনিত গোপালগঞ্জবাসী। তাই অন্তবর্তী সরকারের দু দুজন উপদেষ্টাকে কন্ট্রোলরুমে বসে প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে থাকতে হয়। তবে এতসব ঢাল-তলোয়ার, অর্থাৎ দুজন উপদেষ্টার জিপিএস, আর্মি পুলিশ বাহিনী- অস্ত্রশস্ত্র ট্যাংক নিয়ে গিয়েও এনসিপি সক্ষম হয়নি তাদের 'মিশন গোপালগঞ্জ' সফল করতে। যুদ্ধাংদেহীদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে 'মিয়াভাই' আর 'খোকার' অগুনতি ভাই-বোন মা বাবা। এনসিপি চাইলেই নিজেদের শান্তিপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ভদ্রভাবে ফিরতে পারতো। কিন্তু সেটা তাদের চাওয়া ছিল না। সেনাবাহিনীকে আগে থেকেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল উত্তেজিত গোপালগঞ্জবাসীর ওপর গুলি করার। কৌশল খাটিয়ে জনসভা থেকে স্থানীয়দের উত্তেজিত করা হয়। যেন তারা চড়াও হয়-তাদের প্রয়োজন ছিল উত্তেজিত জনতা এবং লাশ– ইতোমধ্যে কতজন গোপালগঞ্জবাসী নিহত হয়েছেন জানা নাই। ১৬ তারিখ পেরিয়ে গেলেও আজ চারদিন যাবত সেখানে কার্ফু জারি আছে। পুরুষদের যথেচ্ছা গ্রেফতার চলছে। নারীদের ওপর চলছে অকথ্য গালিগালাজ, ভূক্তভোগী নারীদের প্রতি তাদের ব্যবহার কিছু ক্ষেত্রে অভাব্যতার চূড়ান্ত। নির্বিচারে গুলির মুখে অনেকেই নিহত– সাধারণ মানুষের এমন অবস্থা যে তারা মৃত স্বজনের জন্য শোক করবেন না কি নিজের জীবন বাঁচাবেন।

অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর নির্বিচারে আওয়ামীলীগের ওপর চড়াও হয়েছে। দলটির কর্মী-সমর্থকদের পাইকারি গ্রেফতারে বাংলাদেশের জেলগুলো এখন ভরতি। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটিকে নিষিদ্ধ করেও তারা তৃপ্ত হননি, তাদের লক্ষ্য ঝাড়েবংশে একে বাংলাদেশের মাটি থেকে নির্মূল করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামীলীগকে কোণঠাসা করতে করতে তারা তাদের সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তাদের এমন বিপুল সফলতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে গ্রেফতার-মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে গোপালগঞ্জবাসী এই সত্য প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন– সাধারণ মানুষ না চাইলে মুজিবকে মুছে ফেলা সহজ নয়– পশ্চিম পাকিস্তান চেষ্টা করেছিল– এখন মোহাম্মদ ইউনুসের আধুনা পূর্ব পাকিস্তান চেষ্টায় নেমেছে– যেন সাধু আর শয়তানের যুযুধান চলছে। আমরা দর্শকমাত্র। দেখা যাক কার হয় জয়, আর কারই বা হয় লয়!



ছবিঋণ: চারু পিন্টু, কাজী মামুন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'সখী, ভালোবাসা কারে কয়!'

শান্তির ছদ্মবেশে কি স্বাধীনতাহরণ?