ফার্স্ট পার্সন এবং ঋতুপর্ণ ঘোষ




মলকুমার মজুমদারের উপন্যাসটা অর্ধেক পড়ে সেই যে কেজো অকেজো বিষয়ের পিছু ধাওয়া করে মেলা ইতং বিতং কাজকম্মের চিপায় খাবি খাচ্ছিলাম তো খেয়েই যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে নিজস্ব আরাম কেদারায় ফেরার তাগিদ এবং তারপর ধপাস। হাতে অতি অবশ্যই একখানা বই। খুব পছন্দের একজন বইখানা নিয়ে বসতে বাধ্য করেছেন। তিনি ঋতুপর্ণ। দ্য ঋতুপর্ণ ঘোষ। কাকতলীয়ভাবে কমলকুমার মজুমদার যার স্কুলবেলার ক্রাফট্ টিচার। যে মাস্টার মশাইয়ের ' কী হচ্ছেটা কী?' শাসনের বৃত্তে দাঁড়িয়ে নিজের অভিনয় সত্তার ক্রমাগত ঋদ্ধ করবার উৎসাহ খুঁজে পেয়েছেন অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষ।

একজন মানুষের মধ্যে এতোটা মুগ্ধ করবার মতো উপাদান কীভাবে ঠাসা থাকতে পারে আমি ভেবে পাইনা। তাঁর বলন, তাঁর কাজের ধারা, নিজের বিশ্বাসটাকে সবার সামনে সততার সাথে প্রকাশ করতে পারার সাহসী ভঙ্গি..সব কিছুতেই আমার বিস্মিত ভালোলাগা, মুগ্ধতা। পাঠক হিসেবে তাঁর লেখার সাথে এটাই প্রথম পরিচয় আমার। যে মুগ্ধতা টেনে রাখতো ওঁর 'ঘোষ অ্যান্ড ঘোষ কোম্পানি' এপিসোডের প্রত্যেকটা মুহূর্ত, সেই একই চৌম্বকীয় ক্ষমতা তাঁর লেখার পরতে পরতে। যেন বা বইয়ের পাতা ফুঁড়ে চেনা ভঙ্গিমাটি নিয়ে তিনি সামনে বসেই বলে যাচ্ছেন, আন্তরিক স্পষ্ট উচ্চারণে। আমি ঋতুপর্ণের ‘ফার্স্ট পার্সন’ বইটির কথা বলছি। মাত্রই পড়ে শেষ করলাম বইটির ১ম খণ্ড। তারই একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার ছলে ওঁর হুট করে চলে যাবার দিনটিকে অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি। কেউ কেউ চলে গিয়েও আমাদের মাঝেই থেকে যান আরো অধিকভাবে। ঋতুপর্ণ আমার কাছে সেরকম একজন। ওঁর সবকিছুতেই তাই লাগামছাড়া আবেগ ভর করে। তিনি বাংলায় বলেছেন বা লিখেছেন বলেই কী এই মুগ্ধতা? “If you talk to a man in a language he understands, that goes to his head. If you talk to him in his language, that goes to his heart.”

নেলসন ম্যাণ্ডেলার এ উক্তি নিয়ে তেমন দ্বিমত না থাকলেও একই সাথে ভালো বলিয়ে, সিনেমা করিয়ে আর লেখিয়ের দেখা পাওয়া কিন্তু বেশ দুর্লভ। এতোসব গুণের সাথে এসে মিলেছিল নিজের যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের সঠিক স্বরূপটি ভারতের মত রক্ষণশীল সমাজের সামনে তুলে ধরার সাহসিকতা। সেসব নিয়ে তাঁকে কম রক্তাক্ত করেনি মিডিয়াবেবুশ্যা বা সমাজের স্বাভাবিক জীবন পাওয়া অতি কৌতূহলী মানুষগুলো। ব্যথার সে গাঢ় নীল ফার্স্ট পার্সনের অক্ষরে লেপ্টে আছে বৈকি! সমকামীদের মিছিলে এক গর্বিতা মাকে প্লাকার্ড হাতে এগিয়ে যেতে দেখে নিজের মায়ের হাতে 'প্রাউড মাদার' প্লাকার্ড চিন্তাটা কাল্পনিক হলেও, একজন ঋতুপর্ণের নিজেকে প্রকাশে সাহসের উৎসমুখ ছিলেন তাঁর মা এবং বাবা। বইটি জুড়েই যাঁদের নিত্য আসা যাওয়া।

'এলোমেলো দেশ-কাল' 'বিস্মিত অন্বেষণ' 'মনে এল' 'অন্তর মহল' 'চরিতগাথা' 'এলিজি' এসব শিরোনামে বিভিন্ন সময়ের চিন্তা ভাবনা নিয়েই ফার্স্ট পার্সন (১ম/২য় খণ্ড), যা মূলতঃ 'সংবাদ প্রতিদিন' পত্রিকার রবিবার সংখ্যার জন্য নির্ধারিত ছিল। এসব লেখার বিষয় কখনো হয়ে ওঠেছে রাজনৈতিক সচেতন একজন মানুষের ঝাঁঝালো বক্তব্য। যার আঘাতে রাষ্ট্রের হর্তাকর্তাদের সচেতন করবার, হবার যথেষ্ট উপাদান, চিন্তার খোরাক ছিল, আছে। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, পত্রিকার সম্পাদক দলকানাহীন রকম সৎ-অকপট ভাবে নিজের রাজনৈতিক চিন্তার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন, এমনটা দিন দিন বিরল হয়ে যাচ্ছে। আবার একই সাথে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় মিটিং মিছিলে গেলে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং স্পট বাতিল হয়ে যেতে পারে সহকর্মীর এমন আশঙ্কায় নিজেকে তা থেকে সরিয়ে রাখার জন্য তাঁর ভেতরে যে অক্ষম অসহায়ত্বের জন্ম নেয় তাতে পাঠক হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাহীনতায় কেমন হাঁসফাঁস লাগে। পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামের ওপর তৎকালীন সরকারের গণহত্যা, নির্মম আচরণ, হুগলী জেলার সিঙ্গুরে টাটা কোম্পানির আগ্রাসন, ন্যানো গাড়ির জ্বালানি নিয়ে দুর্ভাবনাসহ একজন ঋতুপর্ণের সমাজ চিন্তা, রাজনৈতিক দলকানা না হওয়ার অনুসঙ্গগুলো পাঠককে অন্য এক ঋতুপর্ণের মুখোমুখি করে যেন। 'উন্নয়ন মানেই উচ্ছেদ' এমন উচ্চারণ দেশকাল পাত্রের উর্দ্ধে গিয়ে বড়বেশি সত্যি হয়ে সভ্যতাকেই বুঝি ভেংচি কাটে! নিজের মতো করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরাতন প্রতিবাদটি নতুন করে শিখে যাই আমরা। সত্যাগ্রহ বা অনশনের এই অনুশীলনটি তিনি বুঝি গান্ধীর কাছ থেকে সন্তর্পণে তুলে নিয়ে নিজের মতো করে আদল দিয়েছিলেন। গান্ধী'র সত্যাগ্রহ প্রক্রিয়াটি চিরন্তন ভারতীয় নারীর গোস্বাঘর থেকে ধার করা বলে ঋতুপর্ণের ভাষ্য। মহাভারত বা হিন্দু পুরাণে যা 'প্রায়োপবেশন' নামে খ্যাত। তবে ঋতুর অনশন অভুক্ত থাকা নয় মোটেও..তাঁর ভাষায় " যে জিনিসটাকে সব থেকে ভালবাসি, সেটা যদি ছাড়তে পারি- তবে নিজের কাছেও পরিষ্কার হবে 'Priority' কাকে বলে।" এখানে কোন বিষয় প্রায়োরিটি পাচ্ছে ঋতুপর্ণের কাছে? সেটা না হয় আগ্রহী পাঠক বইটি পড়েই জেনে নেবেন।

কলকাতা সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত ঋতুর ভাবনার সূত্র ধরে এই পাঠকের মনে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের ঢাকার ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা টোকা দেয়। প্রাসঙ্গিক নয় হয়তো, তবুও বলে নিলাম আর কী! ঢাকা এখন দুই ভাগ। উত্তর এবং দক্ষিণ। ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের সাথে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন সমান তালে চলতে পারবেন তো? ঢাকার উন্নয়ন যেন উত্তরমুখী হয়েই না থাকে। দক্ষিণের বাসিন্দা হয়ে এমনটি চাইতেই পারি। কেননা লষ্করবাড়ির লোহার গেটে মলিনমুখে দাঁড়াবার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই আর। উন্নয়ন মানেই সেক্সি শপিংমল না, বেহুদা আবাসন না একথা মেয়রগণ মনে রাখবেন প্লিজ! আপনাদের যুগলবন্দি উন্নয়ন দেখবার ভরসায় থাকলাম। ঋতুপর্ণের মতো করে বলি, "অনেক শিবের গীত হলো, ধান ভানতে আসি...কী বলছিলাম যেন?"

আসলে টিভি অনুষ্ঠানে যেমন দেখেছি ঋতুপর্ণ কথার ঝাঁপি খুলে বসছেন, এক প্রসঙ্গ থেকে ভিন্ন প্রসঙ্গে কেমন দিব্বি আসা যাওয়া। কিন্তু তাল-সুরে কোনো ছন্দপতন নেই। লেখাতেও সেই ভঙ্গি। প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে গিয়েছেন মূল বক্তব্যের রেশটি ধরেই। নিজের চিরচেনা কলকাতার বদলে যাওয়া, এক মানুষের প্রতি অন্য মানুষের নির্লিপ্ত আচরণ, অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে অনাবশ্যক কৌতূহলে ব্যথিত ঋতুর চোখ দিয়ে নিজের প্রিয় শহর ঢাকার বদলে যাওয়া, নির্লিপ্ত মানুষের ভীড়ে খুন হতে থাকা বন্ধু-স্বজন, উৎসব মিছিলের ছুঁতোয় মেয়েদের শরীরে হাত দেবার বিকৃত আনন্দের খবরে সমান ব্যথায় ভেতরটা কঁকিয়ে ওঠে। পতনোন্মুখ এই মিলটি দেখতে না পেলেই বরং ভালো ছিল।

ফার্স্ট পার্সনের নানান শিরোনামের হাত ধরে লেখক নানান বিষয়ে লিখে গেছেন। কী নেই এতে? রাজনীতি, ধর্ম, বাংলাভাষা এবং কিছু শব্দের উৎপত্তি নিয়ে ভাবনা, ফেমিনিজম, নান্দনিক অহংবোধে জর্জরিত মানুষের দ্বিচারিতা নিয়ে অকপট উচ্চারণ। পতাকা বিষয়ক ভাবনায় তাঁর মতো উদার হওয়া সম্ভব না। কারণ লাল সবুজের পতাকাটিকেই হয়তো ঠিকঠাক ভালোবাসতে পারিনি। তাবত পৃথিবীর পতাকার প্রতি সমান ভালোবাসা প্রকাশ করি কীভাবে? অন্তত চাঁদতারার সাদা সবুজ পতাকাটির প্রতি তো নয়ই। এ জীবনে 'সব পেয়েছির আসর' এ বিশ্বনাগরিক হয়ে যোগ দেবার ব্যাকুলতা থাকলেও ঐ বিশেষ পতাকা'র প্রতি সমান সম্মান দেখিয়ে আনন্দ পেতে চাইবো না। মনে মনেও নয়। দুঃখিত প্রিয় ঋতুপর্ণ!

ছোটবেলা থেকে বাঙ্গালি হিসেবে সুভাষবোসকে হিরো ভেবে আসায় যেমন একটা ক্ষোভ উঁকি দিয়ে গেছে তাঁর মধ্যে, একই সঙ্গে সব ছাপিয়ে গান্ধীর প্রতি ঋতুর একটা আন্তরিক ভালোবাসার জায়গা আছে, তা বেশ জানান দেয়। অহিংসায় বিশ্বাসী ঋতুপর্ণ ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে তাই বুঝি সহজভাবে নিতে পারেন না। পরিকল্পিত এই মানব হত্যায় পৃথিবী থেকে সব পাপ মুছে যায় না ঠিকই, কিন্তু ধর্ষণ, খুন ইত্যাদির শাস্তি হিসেবে মৃত্যদণ্ড লোপাট করে 'বরিষ ধরা মাঝে শান্তিরও বারি' আজকের পৃথিবীতে ইউটোপিয়ান ভাবনাই বটে। দিকশূন্যপুরের ঠিকানা খুঁজে খুঁজে যেমনটি আপনি হন্যে, ইউটোপিয়ানের অবস্হাও যে তেমনই প্রিয় ঋতুপর্ণ! তবুও আপনাকে অসীম শ্রদ্ধা জানাই, নিজের মতামত প্রকাশে আপনি ভণ্ডামির আশ্রয় নেননি। উত্তরাধুনিক বেবুশ্যারা যেমনটি করে নিজের দেশে সংঘঠিত অপরাধের পক্ষে মৃত্যদণ্ড খুব ঠিক, কিন্তু ভিনদেশের জন্য একদম নয়। এমন দ্বিচারিতা আপনার মধ্যে দেখতে হলো না বলে শ্রদ্ধার পাশে অনেকটুকু ভালোবাসা জমা রাখলাম।

জয় গোস্বামী ঋতুপর্ণের খুব পছন্দের তা জানা ছিল ওঁর অনুষ্ঠানের কল্যাণে। কিন্তু তাঁর "মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয়" নামের আশ্চর্য সুন্দর কবিতাটি যে ঋতুপর্ণেরও এতোটা ভালোলাগার, পছন্দের এই অন্তমিলে আত্মহারা মামুলি এই পাঠক! জানলার ধারের সিটে বসা নিয়ে একজন পূর্ণ বয়স্ক ঋতুপর্ণের ছেলেমানুষি, ৯/১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকালীন চেকিংয়ের নামে বিমানবন্দর গুলোতে যাচ্ছেতাই ব্যবহার, তা নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিকারের জন্য উৎকণ্ঠা, বিমানবন্দরে মুসলমান দম্পতির নাজেহালে তাঁর সহানুভূতিশীলতা, তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে হায়দ্রাবাদে মুসলিম মৌলবাদীদের হাতে নিগৃহীতা হওয়া এবং তাতে সেরকম প্রতিবাদ না ওঠায় তাঁর তীব্র প্রশ্ন " মৌলবাদের ধর্মবিভাজনও কি মৌলবাদ নয়?"

একজন বাঙ্গালি রাষ্ট্র প্রধানের সাথে বাংলায় কথা বলতে না পারার আক্ষেপে সত্যিকার বাংলাদেশি মাত্রই আবেগাপ্লুত হবেন। হবেন ঋতুপর্ণের ব্যথার সমব্যথী। কারণ মানুষটির নাম যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান! কিন্তু ওরকম গমগমে কণ্ঠটিকে কেন তাঁর ঘরঘরে লেগেছিল, সে প্রশ্ন আজ বড্ড বেশি অবান্তর। যাঁর সেলুলয়েডের ফিতায় চোখ রেখে, যাঁকে গুরু মেনে ঋতুপর্ণ সিনেমার কারিগর হবার স্বপ্ন বুনেছিলেন, সেই সত্যজিৎ নয়, বাঙ্গালির মহানায়ক উত্তমকুমার, এই আফসোসসহ সত্যজিৎ আলোচনা ঘুরে ফিরে উঁকি দিয়ে গেছে আড্ডার মুডে, লেখার ফাঁকে ফাঁকে। যেহেতু তিনি শিল্পের সাথে জড়িত মানুষ তাই তাঁর লেখায় বার বার এসেছেন শিল্প জগতের নানান মুখ, অসংখ্য নাম। কিন্তু সবটা বলা ঠিক হবে না। এমনিতেই আবেগে ভেসে গিয়ে অনেক বকেছি। রাশ টানতে হয় এবার।

"যখন আপনারা আজকের ফার্স্ট পার্সন পড়ছেন তখন আমি অনেক দূরে....." এমন করে সত্যি হয়ে যাওয়া বাক্যবন্ধ পরের লাইনটুকু পড়বার জোর দিতে ব্যর্থ হয়। সবকিছু তখন ঝাপসা ঠেকে খুব! ২০১৩'র ৩০ মে'র সকালটা আর দেখা হয়না ঋতুপর্ণ ঘোষের। কাউকে কিছু না বলেই হুট করে ঘুমের ভেতরেই পাড়ি জমিয়েছেন সেই সেখানে, যেখানে তাঁর বিশ্বাস সবাই সুখে থাকে। যেখানে তাঁর জন্য ভাত মেখে মা অপেক্ষায়, বিতিকিচ্ছি নামের তিন ভাইয়ের গল্পের ইতি টানবেন বলে। বাবা ছায়া হয়ে পাশে পাশে থাকবার জন্যে ব্যাকুল। সেখানে ঋতুপর্ণ নামের মানুষটিকে আমাদের কোনো অমানবিক আচরণই আর ছুঁতে পারবে না।

শিল্পীর যেমন কোনো লিঙ্গ থাকে না , ঈশ্বরেরও তেমন মৃত্যু হয় না। ঋতুপর্ণ এমন একজন মানুষ যিনি নিরন্তর মগ্ন থাকতে ভালোবাসতেন কোনো শোকে, সুখে বা সাধনায়। চিন্তা চেতনায় দৈন্য সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বরাবরই তিনি আকাশ সমান উচ্চতায় থেকেছেন, থাকবেনও অনেকটা কাল। কারণ যিনি সৃষ্টি করেন তিনি ঈশ্বর। আর "ঈশ্বরের তো মৃত্যু হয় না। যিনি ঈশ্বরের মতোই বিরাজ করেন আমাদের ইন্দ্রিয়ে, আমাদের চেতনা বা মননের প্রতিটি উত্তরণের ধাপে, তিনি মারা গেছেন এ কথা বলবো কী করে!"


[রচনা ও প্রকাশ: ২০১৫, সচলায়তন]                                     
 

ছবি: এ আইয়ে দিয়ে তৈরি

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাদ যাবে কি মুজিব(বাদ!)?

'সখী, ভালোবাসা কারে কয়!'

শান্তির ছদ্মবেশে কি স্বাধীনতাহরণ?