পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি গেছো, স্পর্ধা গেছে...

ছবি
তু মি না থেকেও থাকার অধিক আছো। এবছর তুমি শতবর্ষী হলে জানো নিশ্চয়ই! প্রিয় ঋত্বিক, শতবর্ষের জন্মদিনে শুভেচ্ছা ভালোবাসা জেনো!  জৌলুশহীন বেশবাস, শেভহীন মুখাবয়বের ঋত্বিক নামের ঋজু মেরুদণ্ডের মানুষটাকে আমরা অনেকেই সচোক্ষে দেখিনি- কিন্তু তাসত্ত্বেও মানুষটা আমাদের প্রিয় একজন। সাহসী-অকপট মানুষকে দিনশেষে মানুষ খুঁজে-- জানো তো- প্রিয় ঋত্বিক। তুমি সেই সাহসী-একবগ্গা আর সপাটে বলতে জানা মানুষ। বুক জুড়ে যাঁর ছিল অতলান্ত স্বপ্ন-- স্বদেশের মাটি হারানোর হাহাকার। তুমি খুব চেষ্টা করেছিল-- তোমার সাহসের বীজ ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু পারোনি। আমরা নিতান্তই লক্ষ্ণীমন্ত হয়েছি স্রেফ। অন্যায়- অনাচারে রুখে দাঁড়ানোর আগে লাভ-ক্ষতির হিসেবটা আমাদের কাছে বড়।  ক্রান্তিকালেও আমরা কেউ তোমার মতো গলা তুলে বলতে শিখিনি, 'বিক্ষুব্ধ সময়ে মুজরো' দেখছো! আমরা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে থাকা সেইসব বেড়াল-- সময়ে যারা গায়ে চড়াই মিথ্যে বাঘের ছাল। আমাদের ভণ্ডামি আর ফাঁপা জীবনের প্রতি আসক্তি, তোমাকে ক্ষব্ধ করেছে প্রতিনিয়ত! অভিমান নিয়ে ছেঁড়া চটি ঘষটে ঘষটে তুমি চলে গেছো... নীতার পিছু পিছু। দলছুট মেঘেরা এসে ঢেকে দিয়েছে জ্বলজ্বলে সেই তারার ...

Happy 60th Birthday Dear Shah Rukh Khan

ছবি
S hah Rukh Khan, affectionately known as the ‘King of Bollywood has lived a journey that reads like a modern legend. From the modest lanes of Delhi to the dazzling skyline of Mumbai, his ascent to stardom is not merely cinematic, but deeply human. He began his acting career on television in the late 1980s, quietly weaving himself into the hearts of viewers. Then came Deewana in 1992, his big-screen debut a film that marked the beginning of a career both meteoric and enduring. In the early years, he dared to play the anti-hero, embracing complex roles in Baazigar and Darr, long before he became the quintessential romantic icon of Indian cinema. But Shah Rukh Khan’s appeal goes far beyond the silver screen. He is a man of immense talent, generosity, and a sparkling wit that endears him to millions not just in India, but across the globe. I believe it is his human qualities, more than his cinematic triumphs, that have truly won the world’s affection. There are countless people who may nev...

হারুকি মুরাকামির গল্প: কাহো

ছবি
জাপানি থেকে ইংরেজি ভাষান্তর করেছেন: ফিলিপ গ্যাব্রিয়েল বাংলায় ভাষান্তর: নাহার তৃণা “ জী বনে অনেক ধরনের নারীর সাথে আমি সাক্ষাৎ করেছি,” লোকটি বলল, “কিন্তু আপনার মতো এমন কদাকার কাউকে কখনো দেখিনি।” কথাটি তখন বলা হয় যখন তারা ডেজার্ট খাওয়ার পর, কফি আসার অপেক্ষায় বসেছিল। কী বলা হলো সেটা পুরোপুরি বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লেগেছিল কাহোর। তিন বা চার সেকেন্ডের মতো। কথাগুলো বলা হয়েছিল একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে, এবং কাহো বুঝতে পারছিল না, এমন আচরণের পেছনে লোকটির উদ্দেশ্য কী। যখন সে সপাটে, হতভম্ব করার মতো কথাগুলো বলছিল, তখন তার মুখে লেপ্টে ছিল মৃদু, এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি। রসিকতার কোনো ছিটেফোঁটা সেখানে ছিল না। সে মোটেও ঠাট্টা করেনি; বরং, তাকে বেশ ভাবগম্ভীর দেখাচ্ছিল। ওরকম কথার অভিঘাতে কাহোর প্রতিক্রিয়া‌ দেখানোর একমাত্র উপায় হতে পারতো, তার কোলের ওপর থাকা রুমালটি টেবিলে ছুঁড়ে ফেলে, পাশের চেয়ারে রাখা তার ব্যাগটি তুলে নেওয়া, উঠে দাঁড়ানো এবং একটিও বাক্য ব্যয় না বলে রেস্তোরাঁ ছেড়ে চলে যাওয়া। সম্ভবত, ওটাই হতো ওরকম পরিস্থিতি সামলানোর সেরা উপায়। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে কাহো তা করে উঠতে পারলো না। এর এক...